Archive For The “হলুদপত্র” Category
একটা প্রচলিত গল্পের কথা দিয়ে শুরু করা যাক। বাংলার কোন এক অঞ্চলে কথকতার আসর বসে। কথকঠাকুর মহাপন্ডিত লোক। শাস্ত্র,পুরাণ সবই তার কণ্ঠস্হ। আর পরিবেশনায় থাকে ছত্রে ছত্রে নাটকীয়তা। ভক্ত সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। তবে দোষ একটা আছে। কাম-কামিনীর।তা বড় মানুষের অমন থাকে,গায়ে না মাখলেই হয়। সঙ্গিনীটি ব্রাহ্মণের বিধবা।ঘরের অন্যসব কাজের সাথে কামটুকু সেইই…
বুলবুল না বুলব্বুল (Bulbbul) একটু খটকা রয়ে গেল। হিন্দি ভাষার ছায়াছবি – নেটফ্লিক্স-এ নতুন এসেছে ও সঙ্গে সঙ্গেই জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯ শতকের বাংলার পটভুমিতে গড়ে উঠেছে গল্পের শিকড়। গল্পটাকে ভুতুড়ে গল্প বলা ঠিক হবেনা। গল্পটির ধরন অনেকটা Supernatural Thriller। চোখের বালি, সাহেব বিবি গোলাম, চারুলতা আর তার সাথে তারীনীখুরোর রোমাঞ্চকর গল্প সব মিলে ব্যাপারটা বেশ…
সপ্তাহ খানেক আগে ছিল আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। গত পাঁচ বছর ধরে ২১ শে জুন পালিত হচ্ছে এই দিবস। ওইদিন সকালে ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে দেখি সবার “Yoga Pose” এর ছবিতে ভর্তি। আমদের মত সাধারণ ছাপোষা মানুষ তো ছেড়েই দিন, হলি-বলি-টলি -র সব নামজাদা তারকারা পোস্ট করছেন স্যোসাল মিডিয়ায় – যোগব্যায়ামে তাঁহাদের পারদর্শীতার ছবি দিয়ে। দেখে হাতটা…
গল্পটা বলি, মন দিয়ে শুনুন। গল্পটা ৫৬ হাজার বছর আগের এক পৌরাণিক কাহিনী। লবনাসুরের (চলতি কথায় লোনাসুর) অত্যাচারে পৃথিবী তখন জর্জরিত। শুধু মানুষদের ওপর আত্যাচার করে আর সুখ পাচ্ছিলো না লোনাসুর। বোধহয় ভীমরতি ধরেছিল। সে একদিন দেবতাদের আক্রমন করে বসলো। পৌরাণিক গল্পে যা হয় – দেবতারা লোনাসুরের সাথে পেরে উঠেল না। তাঁরা যথারীতি বিষ্ণুর স্মরনাপন্ন…
ভুল নিয়ে লেখার প্রস্তাব পেতেই এক কথায় লুফে নিয়েছি। কারন ভুল করার সহজাত প্রবণতা আছে আমার। আমি যা বলি ভুল। যা করি ভুল। বলে সব্বাই। বলে নরলোক। বাড়িয়ে বলছি না। বাড়িতেও এ অভিযোগ শুনতে শুনতে আমিও এখন বিশ্বাস করি কথাটা। সেই বিশ্বাস সেই প্রত্যয় থেকেই কলম ধরলাম। আজীবন ভুল জমতে জমতে পাহাড় বানিয়েছি। যদি লিখে…
দশ-এর ঝামেলা প্রায় চুকেবুকে গেছে। রাবণ ছাড়া দশ নিয়ে এত ঝক্কি আর কাউকে পোহাতে হয়েছে কিনা কে জানে। কোনও এক জাঁদরেল বক্তার কাছে শুনেছিলাম রাবণ কখনও স্যান্ডো গেঞ্জি পরতে পারে না। দশ মাথা গলে না। দশের কয়েন নিয়ে সেকী হুলুস্থুলু কাণ্ড। বাসে-ট্রামে-মেট্রোতে। কেউ কাউকে ছেড়ে দিচ্ছে না। কয়েন দিলেই হয় কন্ডাক্টর খচে ব্যোম। না হলে…
লিখেছেন আকাশ ঠাকুর নতুন দু’হাজারে গান্ধিজিকে দেখলে করুণা হচ্ছে। যেন গতকাল হোলি খেলেছিলেন এখনও মুখের রঙ ওঠেনি। এমনিতেই ছবির বাজারে পিঙ্ক এখন হিট। আচমকা দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ, এম্মা গান্ধির গালে লিপিস্টিকের চুম্মা? তাহলে কী ফাদার অফ নেশানের সন্তান কাউন্ট বাড়ল? নাহ! সে’গুড়ে বালি। কাউন্টিং মেশিন সব এখন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কে যা ভিড় তা মোটামুটি নামী…
কচ্ছপের ভাই। সাইজে বড়। কলকাতায় দিব্যি পাওয়া যায়। মাংস খাওয়া যায় না। চিড়িয়াখানায় দেখতে পাওয়া যায় না। তবে টিকিট লাগে। একইরকম স্লো বাট স্টেডি। আলিয়া ভাটের ব্রেনের থেকেও স্লো। এমনকি ভেঙ্কটেশ প্রসাদের ডেলিভারি হয়ে যাওয়া বলও একে দেখে ছ্যা ছ্যা করে। আশুতোষ গোয়ারেকার-এর সিনেমা দেখার জন্য ট্রাম ধরলে দেখা যায় ওই বিশালবপু সিনেমাও শেষ হয়ে…
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বাপ-মা যতোনা বলে বাসের লোক বলে বেশি। যদিও কিছু করার নেই। বাসের ডাকনাম তো মুড়ির কৌটো। ঝাঁকে ঝাঁকে লোক তোলে। পা কি পকেটে গুঁজে রাখবে! বাসের প্রিয় খাবার সিগন্যাল। সাইড ডিশ খিস্তি। হবি ব্রেক মেরে আপনার ইজ্জত আলকাতরা করে দেওয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাড়া সব সিট তারকাটাদের। যদিও লেখা নেই। মাঝে দাঁড়ানোর…
প্রায় সব চিপসের কোম্পানিই ফ্যানের দোকান দিতে পারে। ভেতরে এত হাওয়া। চিপস তো প্রায় থাকেই না। অক্সিজেন সিলিন্ডার ফুরিয়ে গেলে জলের তলায় লেইস এর প্যাকেট খুলে আর কিছুক্ষণ জলপরীদের সঙ্গে ঝুঙ্কুমুনু করা যেতে পারে। নীল আমস্ট্রং পার্ট ট্যু যদি চাঁদে গিয়ে দেখেন হাওয়া নেই, তো এই চিপসের প্যাকেট খুলে হাওয়া দিতে পারেন চাঁদে। চাঁদের পাহাড়ে…